এলিমিনেটর মানেই—ডু অর ডাই। জিতলে ফাইনালের আশা বাঁচবে। হারলে বিদায়ের পথ। এমন সমীকরণের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের সামনে বড় লক্ষ্য রাখতে পারল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বড় ম্যাচের চাপ সামলে স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি তুলতে ব্যর্থ শুভাগত হোমের দল। ফলে, বিপিএলে টিকে থাকতে তামিম ইকবালদের সামনে লক্ষ্য পড়েছে মাত্র ১৩৬ রানের।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে চলতি বিপিএলের প্লে-অফ পর্ব। শিরোপা নিষ্পত্তি হতে বাকি আর মাত্র চার ম্যাচ, আজকেই হচ্ছে দুটি। এর মধ্যে দিনের প্রথম ম্যাচে লড়াইটা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালের।
এলিমিনেটরের ম্যাচে টস জিতে বোলিং বেছে নেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে সঠিক তার প্রমাণ মেলে শুরুতেই। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ছন্দে থাকা তানজিদ হাসান তামিমকে মাঠছাড়া করেন সাইফউদ্দিন। উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরা তানজিদ দুই রানের বেশি করতে পারেননি।
পরের শিকারটি ম্যাকয়ের হাত ধরে। পঞ্চম ওভারে ম্যাকয়ের পরপর দুই বলই উপরে তুলে মারেন চট্টগ্রামের দুই ব্যাটার জস ব্রাউন ও ইমরানুজ্জামান। প্রথম ক্যাচটি তুলে দেন ব্রাউন। সেই ক্যাচটি নিতে গিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ফেলে দেন তামিম।
পরের বলে একই কাজ করেন স্ট্রাইকে আসা ইমরানুজ্জামান। এবার সুযোগ আসে মায়ার্সের কাছে। তিনি সুযোগ হাতছাড়া করেননি। সুযোগ লুফে নিয়ে বিদায় করেন ইমরানুজ্জামানকে (৭)।
প্রথম যাত্রায় জীবন পাওয়া ব্রাউনকে নিজের শিকার বানান ম্যাকয়ই। সপ্তম ওভারে এসে মিলারের হাতে ব্রাউনকে ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন তিনি। ২২ বলে ৩৪ রানের বেশি করতে পারেননি ব্রাউন। মাঝে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে সৈকত আলিকে মাঠছাড়া করেন তাইজুল ইসলাম। পরের শিকারটি মায়ার্সের। নিজের শেষ ওভারে এসে চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত হোমের স্টাম্প ভাঙেন মায়ার্স। ৪ বাউন্ডারিতে ১৬ বলে ২৪ রান করেন শুভাগত।
একের পর এক উইকেট হারানোর মিছিলে বড় লক্ষ্যের কাছে যেতে পারেনি চট্টগ্রাম। শেষের দিকে রোমারিও শেফার্ডের ১১ রান আর টেলঅ্যান্ডারদের ছোট ছোট ইনিংসে কোনো মতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ফরচুন বরিশালের হয়ে বল হাতে ২৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ম্যাকয়ের শিকার ২৯ রান দিয়ে দুটি। ২৮ রানে কাইল মায়ার্সের জুড়িতে শিকার দুটি।